যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর একজন নারী🧕🏻সাহাবা ছিলেন।তিনি একজন হস্তশিল্পী ও একজন ধনবান মহিলা🧕 ছিলেন।
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া মুহাম্মাদ (ﷺ)💖এর একজন নারী🧕🏻সাহাবা ছিলেন। তিনি একজন হস্তশিল্পী ও একজন ধনবান মহিলা🧕 ছিলেন। তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী ছিলেন। তিনি খায়বার🗡️ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
নাম ও বংশ পরিচয়
তিনি বিখ্যাত সাকিফ গোত্রের কন্যা ছিলেন। তার পিতার নাম আবদুল্লাহ আবু মুয়াবিয়া ইবনে উত্তাব, তিনি প্রখ্যাত সাহাবা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর স্ত্রী ছিলেন।
জীবন বৃত্তান্ত
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া একজন দক্ষ হস্তশিল্পী ছিলেন। নিজ হাতে হস্ত তৈজসপত্র তৈরি করে বিক্রী করতেন। এই মালামাল থেকে নিজের ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের জন্য ব্যয় করতেন। এবং এই হস্ত শিল্পতে তিনি সচ্ছলতাও অর্জন করেছিলেন। তিনি খায়বার🗡️ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রী হজরত যাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি একবার মসজিদে🕌 নববিতে ছিলাম। তখন নবি মুহাম্মদ (ﷺ)💖দেখলাম যে, তিনি (মহিলাদেরকে লক্ষ্য করে) বললেন, ‘তোমরা তোমাদের গহনা থেকে হলেও দান কর।
আর যাইনাব তার স্বামী (আবদুল্লাহ) এবং যে সব ইয়াতিম তার প্রতিপালনে ছিল তাদের জন্য খরচ করতেন। একদিন হজরত যাইনাব (তার স্বামী) আবদুল্লাহকে বললেন, আপনি রাসুলুল্লাহকে (ﷺ)💖 জিজ্ঞাসা করুন, আমি যে আপনার এবং যে ইয়াতিম আমার পোষ্য আছে; তাদের জন্য খরচ করছি তা কি দান হিসেবে আমার পক্ষে যথেষ্ট হবে?
তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন, তুমি গিয়েই রাসুলুল্লাহকে (ﷺ)💖 জিজ্ঞাসা কর। তখন আমি রাসুলুল্লাহ’র (ﷺ)💖 কাছে উপস্থিত হলাম এবং (বিশ্বনবির) দরজার কাছে এক আনসারি মহিলাকে দেখতে পেলাম। তার প্রয়োজনটাও ছিল আমার প্রয়োজনের মতো। তখন (হজরত) বিল্লাল রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা উভয়ে তাঁকে বললাম। আপনি রাসুলুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করুন, আমি আমার স্বামী এবং যে ইয়াতিম আমার তত্ত্বাবধানে আছে; তাদের জন্য খরচ করছি, তা কি দান হিসেবে আমার পক্ষে যথেষ্ট হবে?
আমরা (তাঁকে) আরও বললাম (প্রিয়নবির কাছে) আমাদের নাম বলবেন না। (হজরত) বিল্লাল নবির কাছে উপস্থিত হলেন এবং তাঁকে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, ওই নারী দু’জন কে? বিল্লাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যাইনাব। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, কোন যাইনাব? বিল্লাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আবদুল্লাহর স্ত্রী।
নবি মুহাম্মদ(ﷺ)💖 বললেন, ‘হ্যাঁ’, তার দ্বিগুণ সাওয়াব হবে। সাদকার সাওয়াব এবং আত্মীয়তা রক্ষা করার সাওয়াব।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তার স্বামী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ৩২ হিজরিতে সনে ইনতিকাল করেন। অন্তিম অবস্থায় তিনি স্ত্রী ও কন্যাদের দেখাশুনা ও বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে যুবায়র ইবনে আওয়াম ও আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রকে সাহায্য করার অসীয়ত করে যান।
হাদিস বর্ণনায় যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া ৮টি হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি সরাসরি মুহাম্মাদ, তার স্বামী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও উমার ইবনে খাত্তাব থেকে হাদিস বর্ণনা করেন।
এবং তার থেকে অনেক তাবেয়ী হাদিস বর্ণনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য নামগুলোঃ
আবু উবায়দা,
উমার ইবনে আল হারিছ
বিসর ইবনে সাঈদ
উবায়দ ইবনে সাব্বাক সহ আরো অনেকে।
একটি হাদিস,
যয়নব বিনতে আবি মুয়াবিয়া বলেন, রাসুলুল্লাহ একদিন তাকে বললেন : যখন তুমি ঈশার নামাযের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হবে তখন সুগন্ধি স্পর্শ করবে না।”
মৃত্যুঃ-
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া ইনতিকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়, তিনি স্বামীর ৩২ হিজরিতে মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন জীবিত ছিলেন এবং খুলাফায়ে রাশিদুন শেষের দিকে ইনতিকাল করেন।
তথ্যসূত্রঃ-
[হিলায়াতুল আওলিয়া ওয়া তাবাকাত আসফিয়া-২/৬৯]।
[তাবাকাত-৮/২৯০]।
[আল-ইসতী‘আব-৪/৩১০]।
[তাহযীব আত-তাহযী-১২/৪২২]।
[উসুদুল গাবা-৫/৪৭০]।
[মাজমা‘ আয-যাওয়ায়িদ -৬/১০]।
[তাবাকাত-৩/১৫৯]।
[নিসা’ মিন ‘আসর আন-নুবুওয়াহ্-৭২]।
[আল-ইসাবা-৪/৩১৩]।
[নি্সা’ মিন ‘আসর আন-নুবুওয়াহ্-৭৬]।
Sumaiya Akter Puruve:-https://www.facebook.com/profile.php?id=100088171500880